News

গ্রেটার খুলনা কমিউনিটি জাপান’র আয়োজনে নবান্ন উৎসব ১৪২৫ পালিত

গ্রেটার খুলনা কমিউনিটি জাপান’র আয়োজনে নবান্ন উৎসব ১৪২৫ পালিত

হাসিনা বেগম: নবান্ন উপলক্ষ্য একসময় বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে যেন পিঠা-পায়েসের ধুম পড়ে যেতো। আমন্ত্রণ জানানো হতো আত্মীয়-পরিজনকে। দেশের নানা জায়গায় আয়োজন করা হতো পিঠামেলার। প্রবাসেও যে এমন আয়োজন হতে পারে তা ছিল অকল্পনীয়। কেবল প্রবাস জীবনে কেন বাংলাদেশের শহরাঞ্চলেও এখন আর অমনটি দেখা যায়না। প্রবাসে তো কল্পনা ই করা যায়না। বিশেষ করে জাপানের মতো ব্যস্ততম কর্ম জীবনে। কিন্তু অকল্পনীয় হলেও “নবান্ন উতসব” পালিত হয়েছে জাপানে। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রবাসীদের আন্তরিকতায়। গ্রেটার খুলনা কমিউনিটি জাপান’র আয়োজনে জাপানে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে ‘নবান্ন উৎসব ১৪২৫’।১১ নভেম্বর টোকিওর অদূরে সাইতামা প্রদেশের সোকা সিটি সেজাকি কমিউনিটি সেন্টার-এ আয়োজিত প্রথমবারের মতো ব্যাতিক্রম এ আয়োজনে জাপান প্রবাসীদের ঢল নেমেছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে আয়োজকদের হিমসিম খেতে হয়। তারপরও আপ্যায়নে কোন ত্রুটি ছিল না। বরং বেশ আন্তরিকতার সাথেই বিপুল সংখ্যক অতিথিকে আপ্যায়িত করা হয়। প্রবাসীদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দুতাবাসের ইকোনোমিক মিনিস্টার ডঃ সাহিদা আকতার, কমার্স কাউন্সেলর মোঃ হাসান আরিফ, কাউন্সেলর (শ্রম) মোঃ জাকির হোসেন সহ দুতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। নবান্ন শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ‘নতুন অন্ন’। নতুন ধান থেকে উৎপাদিত চালে প্রথম রান্না উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসব ই হচ্ছে নবান্ন উৎসব। আর অগ্রহায়ন মাসে নতুন আমন ধানের চালে তৈরি বিভিন্ন পিঠা হচ্ছে নবান্ন উৎসবের অন্যতম উপকরণ। তাই গ্রেটার খুলনা কমিউনিটি আয়োজিত নবান্ন উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল পিঠা। ১০ টি জেলার সমন্বয়ে গ্রেটার খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলের ভাবীদের হাতে তৈরি হরেক রকম পিঠা প্রবাসীরা উপভোগ করেছেন বেশ। উৎসব মানেই বিনোদনের ব্যাবস্থা রাখা। সেই চিন্তা মাথায় রেখেই বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুস্টান আয়োজন কে আরও প্রাণবন্ত করে তুলে। গোলাম মাসুম জিকোর পরিকল্পনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটিতে যথেষ্ট মুনশীয়ানার পরিচয় ছিল। অনুষ্ঠানের সমন্বয় হিসেবে কাজ করেছেন তফসির আহমেদ তুহিন, মোস্তাফিজুর রহমান জনি, জেসমিন সুলতানা কাকলি প্রমুখ।খুলনা বিভাগ থেকে জাপানে বসবাসকারী শিল্পীরা ছাড়াও প্রবাসীদের প্রিয় দু’টি সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরণ এবং স্বরলিপি’র শিল্পীদের সহযোগিতায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি নবান্ন উৎসব পালন কে আনন্দমুখর করে তুলে।পুরো আয়োজনকে পাঁচটি পর্বে ভাগ করা হয়েছিল। এগুলো হচ্ছে উদ্বোধন, কবিতা সন্ধ্যা, নবান্নের নৃত্যানন্দ, নবান্নের গীত সন্ধ্যা, এবং কনসার্ট। আর এগুলোর উপস্থাপনার প্যানেলে ছিলেন জিকো, বহ্নি আহমেদ, ববিতা পোদ্দার, কাউসার হাসান লাইজু, শিলা আফরোজ, তনুশ্রী গোলদার বিশ্বাস প্রমুখ। গ্রাম বাংলার আবহে মঞ্চটি তৈরি করেছেন শিল্পী সজীব। সহযোগিতায় ছিলেন জিকো, বিপ্লব, লাইজু, জনি প্রমুখ।